প্রত্যয় ডেস্ক, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে বিশ্ব জলবায়ু কার্যক্রম দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন করেছে ইয়ুথনেট ক্লাইমেট জাস্টিস ঝালকাঠি।
বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবসের অংশ হিসেবে সুইডিস পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের আহবানে সাড়া দিয়ে এই কর্মসূচি আয়োজন করে ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস। কোস্টাল ইয়ুথ একশন হাব ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় শুক্রবার সকালে ঝালকাঠির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে তরুণ জলবায়ুকর্মীরা একত্রিত হয়।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে আরও জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। কার্বন নিঃসরনের পরিমান কমাতে হবে।উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্টের চেয়ারপার্সন ফিরোজ মোস্তফা, ঝালকাঠী জেলা ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সমন্বয়কারী তন্ময় চন্দ, ঝালকাঠী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পঙ্কজ কুমার দে, মেধাবী ছাত্রনেতা মাহমুদুর হাসান মান্না, হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক তথা ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সহ সমন্বয়ক অসিত সরকার, জেলা ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বিষ্ণু কুমার শীল, জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজু বনিক আকাশ, জেলা ছাত্রলীগ নেতা দুর্জয় কর্মকার, তারুন্যের কন্ঠস্বরের সমন্বয়ক নাসরিন সারা, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বাধীনতা প্রজন্মলীগ ঝালকাঠী শহর শাখার সাধারন সম্পাদক বিষ্ণু মজুমদার, যুবায়ের মালিক, সোনারবাংলা ব্লাড ব্যাংকের অন্যতম সদস্য এবং রক্তযোদ্ধা মোহাম্মদ হাসিব, তরুন সাংবাদিক বাঁধন রায় এবং আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানব জাতি আজ বিপদাপন্ন। এ বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকা আরও অর্থবহ করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়নসহ সবকিছুতেই তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া করোনা প্রণোদনা যেন জলবায়ু-সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে সর্মথন করে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে। বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের অবস্থান সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।
রিপোর্টঃ বাঁধন রায়